মালদা

যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্য নিয়ে রেলের বিরুদ্ধে উঠল অভিযোগ,মালদা স্টেশনে দীর্ঘ ছয় ঘন্টা দাঁড়িয়ে রইল ব্রক্ষপুত্র মেল

দীর্ঘ ছয় ঘন্টার পর মালদা স্টেশন ছাড়লো ব্রক্ষপুত্র মেল ট্রেনটি। গুহায়াটি গামী এই ট্রেনের শীততাপ-নিয়ন্ত্রিত যন্ত্রটি বিকল হয়ে যায়। যার ফলে শীততাপ-নিয়ন্ত্রিত কামড়ার যাত্রীরা অতিরিক্ত গরমে অসুস্থ হয়ে পড়েন। দিল্লী থেকে ট্রেনটি ছাড়ার পর এই সমস্যা উপলদ্ধি করেন যাত্রীরা। তা ট্রেনের দায়িত্বে থাকা কর্মীদের জানানোর পর কোন ব্যবস্থা করেনি রেল কর্তৃপক্ষ। কুয়েল স্টেশনে যাত্রীদের অবস্থা শোচনীয় হয়ে পরে। তখন সেই স্টেশনের  ইঞ্জিনিয়াররা মেরামতি করার চেষ্টা করেন। কিন্তু সফল হননি। এরপর ভাগলপুর স্টেশনে ঠিক করা হবে বলে ট্রেনটিকে ভাগলপুরেও নিয়ে আসা হয়। তবু তা মেরামতি সম্ভব হয় নি। ট্রেনটি মালদা স্টেশনে আসার পর বেশ কয়েকজন যাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে ক্ষোভের সৃষ্টি হয় যাত্রীদের মধ্যে। এরপর ট্রেনটি  মেন লাইনে দাঁড় করিয়ে ঠিক করার ব্যবস্থা করা হয়। প্রায় ছয় ঘন্টার প্রচেষ্টার পর অস্থায়ীভাবে কামড়ার বাতানুকূল পরিস্থিতি ঠিক করা হয়। মেন লাইনে কাজ করায় গৌড় এক্সপ্রেস সহ দুরপাল্লার বেশ কিছু ট্রেন বিভিন্ন স্টেশনে দাড়িয়ে পরে। যার কারণে তীব্র সমস্যায় পড়েন বিভিন্ন ট্রেনের যাত্রীরা। 

এই ঘটনায় আটকে পড়া এক যাত্রী মৌমিতা দত্ত জানান, এসি খারাপ ছিল তাই ট্রেন দাঁড়িয়ে রয়েছে। যার ফলে যাত্রীরা প্রচন্ড বিক্ষোভ দেখায় যার কারণে সমস্ত ট্রেন আটকে পড়েছিল।

এই ঘটনায় ইটাহারের বিধায়ক অমল আচার্য বলেন, খুব বাজে পরিষেবা রেলের ঢিলে ঢালা পরিস্থিতি এর জন্য দায়ী। জেনারেল কোচ ভালো কিন্তু এসি কোচে যদি এসি বিকল হয়ে যায় তবে সেটা খুবই কষ্টের। টিকিটের ভাড়া ও প্ল্যাটফর্মের টিকিটের দাম বারিয়ে দিয়েছে। কিন্তু পরিষেবার কোন উন্নতি নেই। পরিষেবার কোন গুরুত্ব নেই রেলের।

বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন নিচের লিংকে

https://www.youtube.com/embed/ePGR5WYp8Vo